বিনোদন প্রতিবেদক
‘আমি তোর নামেতে মামলা দেব ধারা-৫৪ হাতকড়া পরামু হাতে শুনরে মনচোর ধারা যদি দিতেই হয়রে দিসরে ৩০২ প্রেমের দায়ে ফাঁসি হলেও বলব আমার তুই’- নিটল-নিরেট প্রেমের শ্রুতিমধুর এই গানটি নিয়ে আবারো দর্শক-শ্রোতার সামনে আসছেন সময়ের আলোচিত এবং জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফোক সম্রাজ্ঞী সালমা ও এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। ‘ধারা-৫৪’ টাইটেলের এই গানের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো জুটি বাঁধলেন তারা। এই জুটি এর আগে- ‘তুমি কিসের পাইকার বলো রে বন্ধু; খুচরা বুঝো না ওই যে ভালোবাসা হয়না রে বন্ধু পাইকারে বেচাকেনা এবং ‘তোমার মনের কথা কেন সখি আগে বলো নাই, আমি হইলাম যখন অন্যের এখন কিছুই করার নাই’ গান দুটি গেয়ে দর্শক মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেন। ধারা-৫৪ গানটিও দর্শক-মন ছুঁয়ে যাবে বিশ্বাস শিল্পীদের। আমি তোর নামাতে মামলা দেবে ধারা-৫৪- এই গানের অডিও ট্র্যাক ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ভিডিও শুটিং চলছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরে এটি মুক্তি পাবে। এইচ আর লিটনের সঙ্গীত আয়োজনে ধারা-৫৪ গানের সুর করেছেন পলাশ লোহ এবং গানটি লিখেছেন রাসেল কবির।

একের পর এক লাইভ কনসার্ট আর জনপ্রিয় সব হিট গান গেয়ে শ্রোতামনে আলাদা আসনে সমাদৃত সময়ের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। গানে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি লেখালেখিতে হাতটা তার বেশ। সুর এবং কথাতে ইতোমধ্যে মুন্সিয়ানার পরিচয় মিলেছে তার। অবশ্য গানের কথা লেখা কিংবা সুর দেয়া ডনের জন্য নতুন ঘটনা নয়। সুরের ভুবনে পা রাখার পর থেকেই এই কাজ অত্যন্ত দক্ষতা এবং সুনিপুনতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন। ধারা-৫৪ গানটির আগে সালমার সঙ্গে জুটি যে দুটি গান তিনি গেয়েছিলে; সেই গান দুটির গান কথা এবং সুর কিন্তু ডনের নিজের। যার একটিতে সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন রোমান রহমান; অপরটি জীবন ওয়াসিফের।

২০২০ সালে গানের ভুবনে পথচলা ডনের। তবে গানে হাতেখড়ি সেই ছোট্টবেলাতেই। কর্মব্যস্ততায় বহু বছর গান থেকে দূরে ছিলেন। তবে বাড়িতে গানের চর্চাটা কম-বেশি চালু ছিল এবং এখনো আছে। ঘরোয়া অনুষ্ঠান বলুন কিংবা শিক্ষক থাকাকালীন (এক সময় শাহীন কলেজের শিক্ষক ছিলেন) বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানের জন্য ডাক পড়ত তার। গানের প্রতি ডনের ভালোলাগা, ভালোবাসা সেই ছোটবেলা থেকেই। গানের শুরুটা জন্মস্থান টাঙ্গাইলে। ওস্তাদ ওয়াহিদুজ্জামান শিশিরের কাছে হাতে-খড়ি। খেলাধুলা এবং সংস্কৃতিচর্চা দুটোই ছিল ডনের পরিবারে। সংস্কৃতিমনা এক পরিবারের সন্তান তিনি। ডনের মা তো ছেলের গানের বিরাট ভক্ত। পরামর্শকও। ডন আবার নিজের মাকে গানের ওস্তাদ বলেও মানেন। বাড়িতে যখন গান করেন, সেখানে সামান্য ভুল-ত্রুটি হলে মা সঙ্গে সঙ্গে ধরে বসেন। এতটুকু ভুলত্রুটিও মায়ের কান এড়ায় না। ভালোবেসে গানের জগতে পা রাখা হলেও এখন পেশাদার হিসেবে নিয়মিত গানের প্রোগ্রাম করছেন। সালমার সঙ্গে ডুয়েটে গেয়ে নিজের সঙ্গীত প্রতিভাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিলেন ডন।